দাম বেড়েছে ডিম-কাঁচামরিচ-মুরগির, কমেছে তেলের

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে ডিম, কাঁচা মরিচ ও মুরগির। ১৫ টাকা দাম কমে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। করলা ৮০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

এইসব বাজারে বাড়তি দামে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, সবজির দাম তেমন বাড়েনি। বেড়েছে মরিচে দাম। কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে রয়েছে মরিচের চাহিদা।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে, ৪০ টাকা কেজি। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ১৫ টাকা দাম কমে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকার।

১১ নম্বর বাজারের তেল বিক্রেতা মো. নাহিদ বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। এখন পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে তেলের লিটার ১৯০ টাকায়।

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ থেকে ১৯০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে বেড়েছে লাল ডিমের দাম। লাহি বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪২ টাকা। ডজন বিক্রি ১২২ থেকে ১২৩ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা। ঈদের পরে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আগামী সপ্তাহে মুরগির দাম আরও বেড়েতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *