কাতার বিশ্বকাপে নেইমারকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল। ২০ বছর আগে সবশেষ বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলকে এই ৩০ বছর বয়সি তারকা বিশ্বকাপ এনে দিতে পারবেন- এমনটা বিশ্বাস করেন অধিকাংশ ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ যখন দোরগোড়ায়, তখন নেইমার পড়েছেন বিপাকে। কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে পিএসজির এই তারকার নামে। সেক্ষেত্রে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন নেইমার। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা তো বটেই, নেইমারের সামনে চোখ রাঙাচ্ছে দুই বছরের জেল। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে এ তারকার।
কর ফাঁকির এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে যখন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্তোস ছেড়ে তিনি বার্সেলোনায় যোগ দেন, তখন নাকি বিশাল অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেই অভিযোগেই মামলা ঠুকেছিল স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ। এ মামলার শুনানি হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে খেলার চিন্তা বাদ দিয়ে তাকে তাই দৌড়াতে হবে বার্সেলোনার আদালতে।
স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষের দাবি, বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার সময় দলবদলের করটা ফাঁকি দিয়েছেন নেইমার। সে কারণে তার দু-বছরের জেল ও ৯৬ কোটি টাকা জরিমানা চান তারা।
স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইস জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। সেজন্য নেইমারকে যেতে হবে বার্সেলোনায়। প্রসিকিউশনের দাবি, এই দলবদলে নেইমার কমপক্ষে ৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন।
তবে বিপদের এখানেই শেষ নয় এই ব্রাজিলিয়ানের। ব্রাজিলের ‘ডিআইএস’ নামের একটা কোম্পানির দাবি, নেইমারের ইমেজ স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের। ২০০৯ সালে, ১৭ বছরের নেইমার যখন স্যান্তোসের উঠতি তারকা তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব কিনে নেন তারা। কিন্তু নেইমার এখন তা অস্বীকার করায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন তারা। এ মামলায় নেইমারের ৫ বছরের জেল আর ১৪৪ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করছে কোম্পানিটি। এমনটাই জানিয়েছে এল পাইস।
তবে, কর ফাঁকির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি নন। এল পাইস জানিয়েছে, এই ব্রাজিলিয়ানের চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেইমারের বাবা-মা, বার্সেলোনার সাবেক দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমিউ ও বার্সেলোনা ও স্যান্তোসের তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে। স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ নেইমারের বাবার দুই বছরের ও মায়ের এক বছরের জেল দাবি করেছে।