চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগের মূলহোতা আজিমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে আজিম ওই ছাত্রীকে নিপীড়নের কথা স্বীকার করেছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) চাঁদগাঁও ক্যাম্প র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজিম ওই ছাত্রীকে নিপীড়নের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনাটি ’ইনস্ট্যান্ট’ ঘটেছে বলে দাবি করেছে সে। ঘটনার কোনো প্ল্যান বা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছে মূলহোতা আজিম।’
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি দুইজন বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী।
এর আগে শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন: মো. আজিম, নুর হোসেন শাওন, নুরুল আবছার বাবু, মেহেদী হাসান হৃদয় ও মাসুদ রানা। তাদের মধ্যে মেহেদী, আজিম ও নুরুল আবছার বাবু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। মেহেদী ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ, আজিম ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নুরুল আবছার বাবু নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া বাহিরাগত শাওন হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও মাসুদ হাটহাজারী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত রোববার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করে পাঁচ যুবক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণেরও অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এর পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে মেয়েটি অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ জুলাই দফায় দফায় আন্দোলন করেন চবি শিক্ষার্থীরা।
সবশেষ শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় চবির আমানত হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।