করোনায় মৃত্যু বাড়ল ৬ গুণ

Slider জাতীয়


দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৫৬ জনে। এ সময়ের মধ্যে আরও ৮৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৭৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (২০ জুলাই) করোনায় মারা যান একজন এবং ১ হাজার ১০৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৪ জন।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৯৫৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ১০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। গত ২৮ জুন রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলির ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এছাড়াও দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুতই সংক্রমণশীল। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ১০ জন সংক্রমিত হতে পারেন। সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, প্রচলিত যে টিকা নিচ্ছি, সেটাকে অতিক্রম করে আক্রান্ত করছে সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফোর এবং বিএফাইভ। তার মানে, করোনার টিকাগুলো সাব ভ্যারিয়েন্টের ওপর কোনো কাজই করে না।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *