প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ২৭ জুলাই

Slider বাংলার আদালত

চট্টগ্রাম: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের রায়ের তারিখ ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই তারিখ নির্ধারিত করা হয়।

এসময় আদালতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি উপস্থিত ছিলেন বলে বাংলানিউজকে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই সময় প্রদীপ কারাগারে থাকলেও চুমকি পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

‘প্রদীপ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করতে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপের শ্বশুর চুমকির নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কর্তৃক অর্জিত। আয়কর রিটার্নে আসামি চুমকি কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া ৫টি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ভুয়া ব্যবসা দেখানো হয়েছে। প্রদীপ তার স্ত্রীকে কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সাজিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন’।

অভিযোগপত্রে যেসব সম্পদের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- নগরের পাথরঘাটায় একটি ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে সেমিপাকা ঘর, ৪৫ ভরি সোনার গয়না, একটি কার ও একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারে ফ্ল্যাট।

মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও দুদকের পক্ষে ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। তবে এই মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিপরীতে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় ঐদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। পরবর্তী গত ৪ এপ্রিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ায় ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *