রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় বুধবার (১৩ জুলাই) সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৪ জন।
কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের নিক্ষেপ করা কাঁদানে গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্টে মারা যান ২৬ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এই কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এ কারফিউ চলবে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ভোগ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ওষুধের তীব্র সংকট এসবের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে দায়ী করে আসছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এমনকি রাজাপাক্ষের পরিবারের অন্য সদস্যরাও সরকার থেকে সরে এসেছিলেন। বুধবার (১৩ জুলাই) গোতাবায়ার পদত্যাগের কথা থাকলেও দিনের আলো ফোটার আগেই সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পাড়ি জমান তিনি। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি তিনি।