সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বুধবার (১৩ জুলাই) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় টাইগাররা। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলার পরিকল্পনা টিম ম্যানেজম্যান্টের। অন্যদিকে, ঘুরে দাঁড়াতে চায় ক্যারিবীয়রা। যদিও এ ম্যাচেও আছে বৃষ্টির শঙ্কা। গায়ানায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে গায়ানা। চেনা ফরম্যাটে স্বরূপে বাংলাদেশ। গেল বছর ঢাকা ও চট্টগ্রাম তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল উইন্ডিজ। এবার নিজ ভূমিতেও প্রথম ম্যাচে হেরেছে টাইগারদের কাছে। আর টেস্ট, টি- টোয়েন্টিতে পথ হারানো বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে আলোর দেখা। টাইগারদের প্রাণের ফরম্যাট। একদিনের ক্রিকেট। সেখানে উইন্ডিজকে পেয়ে ব্যাটে-বলে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে ডমিঙ্গো বাহিনী।
দুই পেসার শরিফুল ও মুস্তাফিজদের পাশাপাশি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মিরাজ। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা শলিফুল তো একাই ৪ উইকেট নিয়ে ধ্বস নামান উইন্ডিজ দূর্গে। ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, তামিম ও শান্ত। তবে, ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেটে হারিয়েও চিন্তামুক্ত নন তামিম। প্রথম ম্যাচে চারটি নিশ্চিত ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডাররা। তা না হলে উইন্ডিজকে আরও অল্প রানে বেধে রাখা যেত।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ফিল্ডিংয়ে আরও মনোযোগ ছিল টাইগারদের। অ্যান্টিগা থেকে সেন্ট লুসিয়া। এরপর ডমিনিকা। কোথাও দেখা মেলেনি এক টুকরো সাফল্য। অবশেষে গায়ানায় পাওয়া জয়ের আত্মবিশ্বাসে বাকি পথটুকু পাড়ি দিতে চায় বাংলাদেশ। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার লক্ষ্য ডমিঙ্গোর। মোসাদ্দেক ও বিজয়ের খেলার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে হেরে ব্যাকফুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পারফরমেন্সে হতাশ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তবে প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই খেলার ইঙ্গিত দিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
এদিকে, প্রথম ওয়ানডের মতো এ ম্যাচেও হানা দিতে পারে বৃষ্টি। গায়ানায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তাই বলছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ খেলা ৯ ওয়ানডে ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। দু’দলের এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ২১ বার জিতেছে ক্যারিবীয়রা। ১৯টি জয় আছে টাইগারদের। দুটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।