গরুর ট্রাকেই ঘরে ফিরছে মানুষ!

Slider জাতীয়


কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ঢাকার আশপাশের সড়কগুলো নিশ্চল-স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে ২০-৩০ কিলোমিটার জ্যাম পর্যন্ত লেগেছে।
বাসস্ট্যান্ডগুলোতে উচ্চ ভাড়া দেয়ার পরও সাধের টিকিট/সিট পাননি এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তবে নাড়ির টানের কাছে হার মেনেছে সব প্রতিকূলতা। কোরবানির পশু বহনকারী গাড়িতেই অনেকে রওনা হয়েছেন তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে।

সরেজমিন দেখা যায়, যেসব যানবাহনে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় আনা হচ্ছিল, সেগুলো থেকে পশু নামিয়ে দেয়ার পর ফিরতি পথে মানুষ পরিবহন করা হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষ সীমাহীন ভোগান্তি সহ্য করে তপ্ত রোদে গরুর আবর্জনা সংবলিত গাড়িতেই উঠে পড়েছেন দলে দলে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোলাইমান কবীর অনীক ঈদে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমে বাসের জন্য খোঁজ করে না পেয়ে পাথরের ট্রাকে উঠে বসেন।

নবীনগরে দেখা যায় যেসব ট্রাকে করে কোরবানির পশু নেয়া হচ্ছিল, সেখানে পলিথিন বিছিয়ে মানুষ পরিবহন করতে দেখা যায়। কথা বলে জানা যায়, এসব ট্রাকের জনপ্রতি ভাড়াও ২০০-৪০০ টাকা।

অনীক সময় সংবাদকে জানান, যে ট্রাকে যেভাবে গরু নিয়ে গেছে, সেই ট্রাকে সেভাবেই মানুষ নিয়ে আসা হচ্ছে। পার্থক্য হলো, গরু নেয়ার সময় চিন্তা করেছে গরু ঠিক থাকবে কি না, অসুস্থ হয়ে পড়বে কি না; মানুষ নেয়ার সময় এটুকুও ভাবা হচ্ছে না।

শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোররাত থেকেই মহাসড়কের ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিবহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। অনেকটা থেমে থেমেই চলাচল করছে যানবাহন।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। বাস ছাড়াও অনেকে খালি ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছে।

এদিকে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ মোকাবিলার পাশাপাশি যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবু সালেক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *