হাজারটা পদ্মা সেতু করলেও বর্তমান সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি যদি না থাকে, জনগণ যদি গণতন্ত্রকে না পায়, গণতন্ত্র যদি না থাকে, তার অধিকার যদি না থাকে, ভোটাধিকার না থাকে সেখানে কিন্তু কোনো লাভ হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই দৃশ্যমান হবে। আর যদি না হয় হবে না।
নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে যদি একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে হয় এখানে অবশ্যই নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। অন্যথায় সেটা সুষ্ঠু করতে পারবেন না, অসম্ভব।
গত ২৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে টানা আটদিন রাজধানীর উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন মির্জা ফখরুল।
রোববার করোনামুক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। এসময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় অবিলম্বে দুর্গত মানুষের মাঝে খাবার, কাপড়, ঘর নির্মাণ ও চিকিৎসার জোর দাবি জানানো হয় স্থায়ী কমিটির সভায়।
তিনি আরও বলেন, দেশজুড়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সঠিকভাবে হয়নি বলে পরিকল্পনা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যায় কি অবস্থা। প্রকৃতপক্ষে জনশুমারি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিএনপি সঠিক পদ্ধতিতে প্রকৃত জনশুমারি ও গৃহগণনার দাবি জানাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি সাভারে স্কুলশিক্ষক হত্যার ঘটনা, নড়াইলে অধ্যক্ষকে অপমানসহ সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্যের চিত্রে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করে, এই অনির্বাচিত সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় সমাজের সব পর্যায়ে নীতি-নৈতিকতা চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।
লোডশেডিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে প্রচণ্ড লোডশেডিং হচ্ছে। এগুলো (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) করার আসল উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতি করা। এসব করে নিজেদের পকেট ভারী করা, বিদেশে গিয়ে বাড়ি-ঘর তৈরি করা উদ্দেশ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।