সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই শিশু সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (০৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা তার দুই সন্তান আক্তার মাহামুদ মাহিদ (১২) ও শিশু কন্যা তাবাসুমকে মাগুরা জেলা সমাজ সেবা অফিস কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুক জানান, হাইকোটের নির্দেশে তিনি জেলা সমাজসেবা অফিসারের কক্ষে দাদা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার উপস্থিতে দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, প্রভেশনাল অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে সুন্দর পরিবেশে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, তার দুই নাতি-নাতনিকে সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা সমাজ সেবা অফিসারের কার্যালয়ে আনা হয়। তার উপস্থিতিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ছোট বাচ্চাদের টানা তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা অমানবিক বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তার সন্তান বাবুল আক্তার একজন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ পুলিশ অফিসার ছিল। ৫ বার পিপিএম পদক পেয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি মামালার ন্যায় বিচারের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত মুসাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। মুসা গ্রেফতার হলেই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বাবুল আক্তারের ভাই অ্যাড. হাবিবুর রহমান লাবু অভিযোগ করেন, তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টের আদেশ ভঙ্গ করে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বাইরে গিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি তদন্ত কক্ষে হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে অতিরিক্ত লোক প্রবেশ করিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম বলেন, তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন করেছেন। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও প্রয়াত মাহমুদা আক্তার মিতু দম্পতির দুই শিশু সন্তানকে কোর্টের আদেশে তদন্ত কর্মকর্তাসহ সবার সামনে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন। সব কিছু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।