‘ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি

Slider বাংলার মুখোমুখি

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরির ওপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবি উঠেছে সংসদে। ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) এ দাবি জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন এ দাবি জানান।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে প্রশ্ন করতে চাই, কোনো অপরাধ ছাড়া কেন এই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। ইতোমধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। পদ্মা সেতু যাতে বাস্তবায়ন না হয়, এ জন্য দেশ-বিদেশি যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র না করতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশের যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ড. ইউনূস, এতিম টাকা আত্মসাতকারী খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক জিয়া।’

এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন, তার সরকারের আমলে কেউ অপরাধ করে রেহাই পাবে না। যারা গরিবের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশের ব্যাংকে রেখেছেন, যাদের নাম পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে, তাদের শিগগিরই দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’

মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী ভাইয়েরা বড় ভূমিকা পালন করেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। প্রবাসী ভাইয়েরা বিমানবন্দরে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। বিমানবন্দরে নেমে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন হয়রানির শিকার না হয়, তাই থার্ড টার্মিনালে ট্যাক্স, কাস্টমস সেল স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘‘আমার নির্বাচনী এলাকার ভাঙ্গা গোলচত্বর পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার একটি। এটি ভাঙ্গা পৌরসভার অন্তর্গত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার নিয়ে এটি দেখতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভাঙ্গা পৌরসভার রাস্তাঘাট খুবই জরাজীর্ণ ও নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। এখান থেকে দর্শনার্থীরা ঘুরে গিয়ে প্রায়ই বলে থাকেন, ‘ওপর দিয়ে ফিটফাট, নিচ দিয়ে সদরঘাট’। আমি সেখানকার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের বিভাগীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙ্গা উপজেলায় স্থাপনের দাবি তোলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *