শেষ বিকেলে পদ্মা সেতুতে হাজার হাজার মোটরসাইকেল আরোহী

Slider জাতীয়


পদ্মা সেতু দেখতে বিকেলে হঠাৎ হাজির হয় হাজার হাজার মোটরসাইকেল আরোহী। টোল প্লাজার সামনে তারা একযোগে হর্ন, বিভিন্ন স্লোগান ও হৈ হুল্লোড় করে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন।

এছাড়াও পিকআপ ভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছে। সবার মাঝেই পদ্মা সেতুতে চড়ার এক দারুণ উন্মাদনা বিরাজ করছে। কেউ কেউ টোল প্লাজা পেরিয়ে এসে বাইক দাঁড় করাচ্ছেন। তাদের সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও হিমশিম অবস্থা।

কেউ কেউ গতির পাল্লায় মেতেছেন। কে কাকে ছাড়িয়ে আগে পদ্মা সেতুতে উঠতে পারে। এ যেন তাদের জমে থাকা এত দিনের উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে প্রথম জরিমানা দিলেন আয়উব খান
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে এসেছেন রানা ও তার বন্ধু রাসেল। কথা হয় সময় সংবাদের সঙ্গে। তারা জানান, শুধুমাত্র পদ্মা সেতুতে ওঠার জন্য তারা এসেছেন। পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা পার হতে পেরে তারা দারুণ খুশি। কথা শেষ না হতেই তারা মোটরবাইক নিয়ে ছুটে চলে তাদের গন্তব্যের দিকে।

এদিকে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জরিমানার মুখে পড়েছেন মাদারীপুরের আয়উব খান নামে এক ব্যক্তি। তিনি শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। রোববার (২৬ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজায় তাকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলল যুবক, ভিডিও ভাইরাল

তিনি জানান, সরকারি আইনের বাইরে যে বা যারা এ সেতুতে অনিয়ম করবেন, তাদের প্রত্যেকেই আইনের আওতায় আনা হবে। আয়উব খানের হেলমেট না থাকায় তাকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে সরকারি নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে প্রবেশ করেন আয়উব খান। এ সময় হেলমেট না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে ১০০ টাকা জরিমানা করেন। পরে ছাড়া পান তিনি।
আয়উব খান দেশের বৃহৎ এ সেতুতে প্রথম জরিমানা প্রদান করা ব্যক্তি। এ বিষয়ে আয়উব খান বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘুরতে এসেছিলাম। পুরো সেতু ঘুরে দেখার আগেই গুনতে হয়েছে জরিমানা। মূলত হেলমেট না থাকায় এ জরিমানা দিতে হয়েছে। তবু ভালো লাগছে স্বপ্নের এ সেতু দেখতে পেরে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *