ভারত গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাসখানেক পরেই বাংলাদেশে গম রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বাংলাদেশে দুই লাখ টন গম রফতানি করতে আগ্রহী বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী সংসদে এ কথা নিশ্চিত করেছেন। একইসাথে তিনি গম আমদানিতে নিজেদের ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, সরকারি চুক্তিতে রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের সাথে গম ও আটার দাম বেড়ে গেছে। তাই রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার।
এ নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সাথে এক দফা আলোচনা হয়েছে বলেও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের গম আদমানির খবর জানিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম গম রফতানিকারক রাশিয়ার সাথে গম সরবরাহের চুক্তির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বেড়ে যাওয়ার দামের চেয়ে কিছুটা কম মূল্যে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে।
রাশিয়া থেকে গম আমদানির ব্যাপারে খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে গম আমদানি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা গম আমদানির প্রস্তাব করেছি। তারাও রফতানি করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
আগামী ৪ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আরো কিছু বিষয় চূড়ান্ত হবে।
এদিকে, রাশিয়া থেকে গম আমদানি করলে ডলারেই মূল্য পরিশোধ হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার থেকে সার ও খাদ্য আমদানির বিষয়ে একটি এমওইউ রয়েছে। বাংলাদেশ ডলারেই আমদানি মূল্য পরিশোধের কথা বলেছে।
৬০ দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাশিয়াকে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দেশে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি জোগান ছাড়াও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫৩ লাখ টন গম আমদানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন।