যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জুড়ী ও বড়লেখা, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি

Slider জাতীয়


অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওড়ের পানি বৃদ্ধির কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের সীমান্ত উপজেলা জুড়ী ও বড়লেখা।

হাওড়ের পানিতে আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর একাধিক স্থান তলিয়ে থাকায় এ দুই উপজেলায় সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। একই সঙ্গে হাওড়ের নিম্নাঞ্চলসহ পৌর এলাকা মিলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বন্যায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন বানভাসিরা। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।

বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের প্রায় ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় খোলা হয়েছে ৩৫ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বিশেষ করে হাকালুকি পারের তালিমপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। এছাড়া সুজানগর, বর্ণি, দাসেরবাজার, নিজবাহাদুরপুর, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তা তলিয়ে গেছে।

এদিকে বন্যায় বড়লেখা উপজেলার ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৮টি পানিবন্দি এবং ২৩টি বিদ্যালয়কে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও মাদরাসা মিলিয়ে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫টি পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক আমরা দুর্গত এলাকার খোঁজখবর রাখছি। সবকটি আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনা খাবারের পাশাপাশি খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *