ফুটবল বিশ্বে লিওনেল মেসিকে বেশ শান্ত স্বভাবের ফুটবলার হিসেবেই সমর্থকরা চেনেন। খেলার মাঝে অনেকে তাকে ফাউল করলেও তিনি সহ্য করে নেন। তবে এবার মেসির বিরুদ্ধেই গুরুতর এক অভিযোগ তুললেন তারই জাতীয় দল ও ক্লাব সতীর্থ লেয়ান্দ্র পারেদেস।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পারেদেস দাবি করেন, বার্সেলোনার বিপক্ষে পিএসজির উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে মেসি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছিলেন যে, তাকে খুন পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন।
ঘটনাটি ২০২১ মৌসুমে বার্সা বনাম পিএসজির শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে। যেখানে কাতালানরা ৪-১ গোলে হেরে বিদায় নেয়। সেসময় বার্সায় খেলা মেসি পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছিলেন। তবে সেদিন ম্যাচ চলাকালে সতীর্থের উদ্দেশে বাজে এক মন্তব্য করে বসেন পিএসজিতে খেলা পারেদেস। কথাটি মেসির কানেও যায় এবং তিনি প্রচণ্ড রাগান্বিত হন।
কাজা নেগ্রাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পারেদেস বলেন, ‘তিনি রেগে যান, কেননা আমি সতীর্থের উদ্দেশে বাজে একটি কথা বলি ও তিনি শুনে ফেলেন, এরপরেই তিনি রেগে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেসি সত্যিকার অর্থেই প্রচুর রেগে যান। তিনি আমার ওপর উদ্ধত হয়ে ওঠেন। সেই মুহূর্তটি ছিল খুবই খারাপ। তিনি এতটাই রেগেছিলেন যে, আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। আর আমি তখন বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলাম।’
মেসির এমন রাগের পর অবশ্য পারেদেস শান্ত হয়ে পড়েন। যদিও দুজনের এই ঘটনাটি আর সামনে আসেনি। আর তার ও আর্জেন্টাইন আরেক সতীর্থ আনহেল দি মারিয়ার যোগসাজসেই মেসি বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি দেন।
এদিকে ২০১৯ সালে জেনিত থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়া পারেদেস আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে আমি তাকে জাতীয় দলে দেখি এবং তিনি আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করলেন, যেন পূর্বে কিছুই ঘটেনি। একজন সাধারণ মানুষের মতোই আচরণ করলেন। আমাদের সম্পর্কটা এভাবেই চলতে থাকলো।’
‘আমাদের মধ্যে এখন যখনই সেই ব্যাপারটি আলোচনায় আসে আমরা হেসে উঠি। কেননা তিনি সত্যিই রেগে ছিলেন, আমাকে খুনও করতে চেয়েছিলেন।’