তুরস্কের নাম ‘তুরকিয়ে’ হচ্ছে যে কারণে

Slider সারাবিশ্ব


রাষ্ট্রীয় নাম পরিবর্তন করতে চেয়ে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল তুরস্ক। গত বুধবার পাঠানো ওই চিঠিতে তুরস্ক জানায়—তারা এখন থেকে ‘তার্কি’ বা ‘টার্কি’ নামে পরিচিত হতে চায় না, বরং এখন থেকে তুরস্কের নাম যেন হয় ‘তুরকিয়ে’। দেশটির অনুরোধে জাতিসংঘ সম্মত হয়েছে।

তুর্কি সরকারের কর্মকর্তারা আশা করছেন—রাষ্ট্রীয় নামের এ বদল বিশ্বাঙ্গনে দেশটির অবস্থানের উন্নয়ন ঘটাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা একটি চিঠি দেখাচ্ছেন।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ককে এখন থেকে ‘তুরকিয়ে’ বলার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেইন দুজারিক নিশ্চিত করেছেন যে, জাতিসংঘ চিঠিটি পেয়েছে। শিগগিরই নাম পরিবর্তনের অনুরোধ কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে নাম নিজেদের নাম পরিবর্তনের অনুরোধ জানাবে তুরস্ক।

গত বছরের ডিসেম্বরে নাম বদলের জন্য তুরস্ক প্রচারাভিযান শুরু করেছিল।

গত বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘তুরকিয়ে’ নামটি সুন্দরভাবে তুর্কি জাতির সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধের পরিচয় বহন করে।

তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি ওয়ার্ল্ড সম্প্রতি অভিযোগ করেছে—ক্যামব্রিজ অভিধান ‘টার্কি’ শব্দটিকে ‘নিদারুণভাবে ব্যর্থ’, অথবা ‘বোকা’ কিংবা ‘গুরুত্বহীন ব্যক্তি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।

এ ছাড়া ‘টার্কি’ নামের একটি পাখিও রয়েছে। এ কারণে পাখির নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নামে নিজের দেশকে পরিচিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *