ঘোড়া প্রতীকের প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

Slider গ্রাম বাংলা


রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: প্রধান নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিলের শুনানি শেষে তৃতীয় পৃষ্ঠা প্রতিবেদনে তৃতীয় পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ্য করে দিয়েছেন। সার্বিক পর্যালোচনায়, মাননীয় নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বর্ণিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোঃ জামিল হাসান অনুমতি না নিয়ে জনসভার আয়োজন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-কে হমকি প্রদান করে এবং তাঁর সাথে অশোভন আচরণ করে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এবং ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার অযোগ্য মর্মে বিবেচিত হয়েছেন। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোঃ জামিল হাসান উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এবং ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন বিধায় উক্ত বিধিমালার বিধি ৩৩ এর বিধান অনুযায়ী বর্ণিত নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। জ্ঞাতার্থে ও কার্যর্থে সত্তর এই আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হোক।

৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের একুশ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুরের শ্রীপুরের নির্বাচন। নির্বাবনের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা শুরু থেকেই থোরাই তোয়াক্কা করছেন আচরণ বিধির। এদিকে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় চেয়াম্যান প্রার্থী জামিল হাসান দূর্জয়কে প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তিন দিন পর ভোট গ্রহন। শেষ মহুর্তের প্রচার প্রচারণায় প্রচন্ড চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকদের মাঝে। ইতোমধ্যেই প্রশাসন বিভিন্ন প্রার্থীকে করেছেন কারণ দর্শানো নোটিশ। ভ্রাম্যমান আদালত করেছেন অর্থ দন্ড। আচর বিধি ভঙ্গের কারণে এক প্রার্থীর প্রার্থতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবু থেমে নেই বিধি ভঙ্গ করে প্রচারণা। বিধি ভঙ্গের লাগাম টানতে মাঠে তৎপর প্রশাসন।

জানাযায়, আগামী একুশ মে দিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। তপসিল ঘোষণার পর থেকে চলছে প্রার্থীদের আচরণ বিধি ভঙ্গকরে প্রচারণা। প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও লাগাম টানতে পারছেনা বিধি ভঙ্গের। গত ২১এপ্রিল মনোনয়ন জমার শেষ দিনে বিধি ভঙ্গ করে মনোনয়ন জমা দেয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মো. জামিল হাসান দূর্জয়কে কারণ দর্শান সহকারী রিটানিং অফিসার।

একই প্রার্থী ২৭এপ্রিল নির্বাচনী এলাকার বাহিরে গাজীপুর সদর উপজেলার সাবা গার্ডেনে বিধি ভঙ্গ করে সমাবেশ কারায় ওই প্রার্থীর কর্মী আক্তার হোসেনকে চল্লিশ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেন ভ্র্যামান আদালত। ৭মে উপজেলার নগর হাওলা গ্রামে বিধি ভঙ্গ করে সমাবেস ও মধ্যঅহ্ন ভোজের আয়োজন করেন জামিল হাসান দূর্জয়ের সমর্থকরা। ভ্রাম্যমান আদালত ওই প্রার্থীর এক সমর্থককে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেন। বন্ধ করেদেন সমাবেশের কাজ।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফের কিছু সময় পর একই স্থানে সমাবেশ করতে চান দূর্জয়ের কর্মী সমর্থকরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী রিটার্নিং অফিসার শোভন রাংসা ও সহ কারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় ওই প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা এ্যাকজিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের সাথে অশোভণ আচরণ করেন। বারবার আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন কমিশন ১৩ মে ওই প্রার্থীকে কৈফত তলব করেন। বিধি ভঙ্গ করায় ১১মে ফের তাকে কারণ দর্শান সহকারী রিটার্নিং অফিসার। ১৫ মে নির্বাচন কমিশন অ্যাড.মো. জামিল হাসান দূর্জয়ের প্রার্থীতা বাতিল করেন। প্রার্থীতা বাতিলে র পরো ওই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকর শুক্রবার সকাল থেকে প্রচার পত্র বিলি ও গন সংযোগ করতে দেখা গেছে।

অপর দিকে বিধি ভঙ্গ করায় ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির হিমুকে ২৪ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সহবারী রিটানিং অফিসার। ২৭ এপ্রিল বিধি ভঙ্গকরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আ.জলিলকে কারণ দর্শানো হয়। ৯মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সানজিদা রহমানকে কারণ দর্শান সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

প্রার্থীরা হামেশাই ভঙ্গ করছেন আচরণ বিধি। দল বেধে চলছেন গাড়ির বহর নিয়ে। বিধি ভঙ্গ করে লাগাচ্ছেন পোষ্টার। ১৫মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সানজিদা রহমানকে ৩০হাজার টাকা, অপর লুৎতফুন্নাহারকে ২হাজার টাকা, চেয়ারম্যান প্রার্থী আ.জলিলের সমর্থককে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ১৬মে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাখাওয়াত হোসেন কে ১০হাজার টাকা, ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থী নাছির মোড়লকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

এদিকে ভোটের বাকি মাত্র তিন দিন। শেষ মহুর্তে প্রার্ধীর নেতা কর্মীদের মাঝে মারছে উত্তেজনা। প্রচার প্রচারনায় নি ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শোভন রাংসা জানান, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠ করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। জামিল হাসান দূর্জয়ের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ পেয়েছি। তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে প্রচার প্রচারনা থেকে বিরত থাকার জন্য। তার ব্যত্বয় ঘটালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কোন প্রার্থী আচরণ বিধি ভঙ্গকরে কেউ ছাড় পাবেনা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার মো. মামুনুল করিম জানান, প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় জামিল হাসান দূর্জয়ের সব ধরণের প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। মাঠে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ আচনষ বিধি ভঙ্গ করলে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *