কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ঈদ উদযাপন

Slider জাতীয়


কক্সবাজার: কক্সবাজার নাম নিলেই বুকে শিহরণ জাগে। এখানে এলে সাগরের বিশালতার মাঝে কার না ভালো লাগে, মনটাই ভালো হয়ে যায়—এমনভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ঈদের দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসা এক পর্যটক।
মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় মনোয়ারা দম্পতির সঙ্গে। মনোয়ারা বলেন, সোমবার বিকেলে সপরিবারে কক্সবাজার এসেছি। আজ সকালে সৈকতে নেমেছি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সমুদ্রস্নানে বাড়তি আনন্দ পাচ্ছি!

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে বিপুলসংখ্যক পর্যটক। গরমের তীব্রতা উপেক্ষা করেই আনন্দে মেতে উঠেছেন তারা। যাদের দেখা মিলল বেশির ভাগই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন।

সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি অনেকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ কেউ আড্ডায় মেতেছেন আবার কেউ অপরূপ প্রকৃতি উপভোগ করছেন আপন মনে। সবকিছু মিলে আবারও পর্যটকে মুখরিত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।

রাঙ্গামাটি থেকে আসা শোভা ত্রিপুরা বলেন, সব সময় পাহাড়ে থাকি, তাই এবার ঈদের ছুটিতে সমুদ্রে আসা। অনেক ভালো লাগছে। সকালে সমুদ্রে সবাইকে নিয়ে গোসল করেছি, ভুব মজা করেছে সবাই। গরমটা একটু কম হলে আরও বেশি উপভোগ্য হতো।

করোনা মহামারির গত দুই বছর পর্যটন খাতে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় ঈদের প্রথম দিন থেকে কক্সবাজারে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল-মোটেলগুলোও পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

কক্সবাজার ভ্রমণে আসা বিপুলসংখ্যক পর্যটক যেন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আনন্দ নিয়ে নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করছে বলে জানান কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ভ্রমণে এসে পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় জন্য সবদিকে নজর রাখছে টুরিস্ট পুলিশ। বাস থেকে নেমে হোটেলে পৌঁছানো, সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ানো সবখানে টুরিস্ট পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এছাড়াও খাবারের দোকান বা কেনাকাটায় যেন বাড়তি টাকা আদায় করতে না পারে, সেদিকটাও দেখা হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং হয়রানি বন্ধে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি টিম সৈকত এবং আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছে। আমরা চাই, দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে এসে মানুষ ভ্রমণের ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরুক। সেই লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *