ঢাকা: কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের বহুল আলোচিত উপ-কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামসহ ৫ অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১০ জন পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে।
রোববার (২২ মার্চ’২০১৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক আদেশে এ বদলি করা হয়।
আদেশে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আওরংগজেব মাহবুবকে এপিবিএনের কমান্ড্যান্ট এবং খাগড়াছড়ির বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার, খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলামকে র্যাবের পরিচালক, এপিবিএন সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দারকে টাঙ্গাইল পিটিসির কমান্ড্যান্ট, নোয়াখালী পিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি হাসিব আজিজকে এপিবিএন সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ঢাকা সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) মো. হাবিবুর রহমানকে নোয়াখালী পিটিসির কমান্ড্যান্ট (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে বদলি করা হয়।
অপর আদেশে বরিশালে উপ কমিশনার হিসেবে বদলির আদেশ পাওয়া পুলিশের উপ-কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার করা হয়েছে। আর জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মো. আবু কালাম সিদ্দিকিকে ডিএমপির উপ-কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
অন্য আদেশে সারদার পুলিশ একাডেমির সুপার রেজাউল করিম মল্লিককে ঢাকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার, বরিশাল আরআরএফ কমান্ড্যান্ট কাজী মোরতাজ আহমেদকে ঢাকা টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
একই আদেশে খুলনা আরআরএফ কমান্ড্যান্ট ড. মো. নজরুল করিম খান, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার দ্বিতীয় এপিবিএন অধিনায়ক মো. দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ এপিবিএন বগুড়ার অধিনায়ক আবু নাসের মোহাম্মদ খালেককে ১০ এপিবিএন বরিশালের অধিনায়ক, ঢাকার বিশেষায়িত সিকিউরিটি ও প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার ড. মোঃ আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়াকে দ্বিতীয় এপিবিএন ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার অধিনায়ক, ১০ এপিবিএন বিরিশালের অধিনায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রহিমকে খুলনা পিটিসির পুলিশ সুপার এবং সিলেট আরআএফ কমান্ড্যান্ট মো জে আনসার উদ্দিন পাঠানকে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সারদার পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল। এছাড়াও ডিবিতে দায়িত্ব পালনকালে তার কয়েকটি অভিযান নিয়েও বিতর্ক ওঠে।