কমলাপুর থেকেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী ছাদে নিয়ে ছাড়ছে ট্রেন

Slider জাতীয়


রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ছাদেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মানা হচ্ছে না কোনো নির্দেশনা।

রোববার (০১ মে) ভোর থেকেই কম বেশি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রয়েছে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৬টায় ছাড়ার কথা ছিল। দেরিতে এসে (সকাল পৌনে ৭টা) পৌঁছানোতে ছেড়ে গেছে সোয়া ৭টার দিকে। চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল ৬টা ৪০ মিনিটে। সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সেটি ছাড়েনি। তবে প্রতিবারের তুলনায় এবার শিডিউল বিপর্যয় কম।

ভ্যাপসা গরম আর তীব্র ভিড়ে ভোগান্তি থাকলেও শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

শুক্রবারও ঈদযাত্রায় সব ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরবঙ্গের সবক’টি ট্রেন বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকেই কমলাপুরে আসে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে। সেখান থেকেই তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না ছাদেও। কমলাপুর স্টেশনে তাই নিজ আসন পর্যন্ত যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হয় যাত্রীদের। ট্রেনের জানালা দিয়েও চলে চেষ্টা। কেউ কেউ সফল হন। শত শত যাত্রীর চেষ্টা ছাদে ওঠার। সেখানেও নেই ফাঁকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঈদযাত্রা অনেকের।

টিকিট থাকার পরও অনেকেই যেতে পারেননি নিজ আসন পর্যন্ত। নিরুপায় হয়ে ফিরে যান কেউ কেউ। যারাওবা উঠতে পেরেছেন ভেতরের ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।

সব ট্রেন কমবেশি শিডিউল বিপর্যয় মেনে ছেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ঈদে বাড়িতে যেতে পারছেন এটাই তাদের কাছে আনন্দের।

কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সময় সংবাদকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু এক লেন হওয়ায় সেখানে অপেক্ষা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তা ছাড়া সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে দিতে প্রতিটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছু সময় বেশি থামানো হচ্ছে। ফলে সময় মেনে চলা কঠিন হবে। তবে কোনো দুর্ঘটনা না হলে সময়সূচিতে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে না। আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত ঢাকা থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে দিতে।’

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় গার্মেন্টস ছুটির পর থেকে রেলপথে চাপ বেড়েছে বহুগুণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *