কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের ৪ শতাধিক প্রার্থী

রাজনীতি

68598_f5

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী ৪০০-এর বেশি প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। যাদের সবাই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের স্থানীয় নেতা। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তারা দিন-রাত ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলীয় সমর্থন লাভের জন্য তারা স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে তদবির-লবিং করছেন নিয়মিত। ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত অখণ্ড ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দল সমর্থিত প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭১। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা এরই মধ্যে ৪০০ ছাড়িয়েছে। আর কাউন্সিলর পদের জন্য এত বেশিসংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নামায় এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতাদের মধ্যে বেড়েছে অস্বস্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডের (উত্তরে-৩৬টি, দক্ষিণে-৫৭টি) প্রতিটিতে গড়ে ৩ থেকে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী। কোন কোন ওয়ার্ডে এ সংখ্যা ৫ থেকে ১০ জন। তারা সবাই নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। সে লক্ষ্যে বিরামহীন প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। উত্তরের ঢাকা-১৫ সংসদীয় এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। যাদের সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। নির্বাচনে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। এদের মধ্যে কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল আলী চৌধুরী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শিকদার রয়েছেন। উত্তরের ঢাকা-১৪ সংসদীয় এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হানিফ, থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কাজী আজাদুল কবির (কাজী আজাদ), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন তিতু, মিরপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক ছাত্রনেতা হিমাংশু কিশোর দত্তসহ অন্তত ৯ জন আওয়ামী লীগ নেতা জোর প্রচার-প্রচারণা ও তৎপরতা চালাচ্ছেন। উত্তরের ঢাকা-১১ সংসদীয় এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ব্যানার্জি, সাংগঠনিক সম্পাদক তালাল আহমেদ রিজভী ও মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। একই সংসদীয় আসনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর লিয়াকত আলী আবারও দলীয় সমর্থন চাইছেন। এছাড়া রামপুরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আকরাম মুকুল, গুলশান থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আনোয়ার, ওয়ার্ড সভাপতি এ কে এম খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ হোসেন চিশতী, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ বি এম আহম্মদ উল্লাহ দলীয় সমর্থন লাভের আশায় জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে নির্বাচনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুফি সুলতান আহাম্মেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি তৈমুর রেজা খোকন, সহসভাপতি সাইদুর রহমান খান সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন সুনু কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দলীয় সমর্থনের জন্য প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। উত্তরের ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার, ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী ওবায়দুর রহমান নান্না, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর কাদের মঞ্জু ও যুবলীগ মহানগর উত্তরের সহসভাপতি শিবলী সাদিক দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হতে জোর লবিং করছেন। উত্তরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক কমিশনার সফিকুল ইসলাম সেন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমতিয়াজ খান বাবুল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুস্তম আলী খান দলের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে জোর প্রচার ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে উত্তরের ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন টেনু, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরীসহ ৫ জন দলীয় সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচার-প্রচরণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া উত্তরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (প্রস্তাবিত) শাহজাহান তালুকদার মিয়া, দলের মিরপুর থানা সহসভাপতি আগা খান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম মোল্লা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী টিপু সুলতান স্থানীয় নেতা সোহেল খান ও শেখ মান্নান এই ওয়ার্ড থেকে দলীয় সমর্থনে লাভের জন্য
চেষ্টা করছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুরান ঢাকার দুটি সংসদীয় এলাকায় (সংসদীয় আসন ৬ ও ৭) ২৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২শ’র বেশি প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। যাদের সিংহভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী। এ এলাকায় কোন কোন ওয়ার্ডে ৩ থেকে ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থন লাভের আশায় নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। দক্ষিণে ঢাকা-১০ নির্বাচনী এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান বাবুল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক দিল জাহান ভূঁইয়া, যুবলীগ উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজবীরুল হক অনুসহ ৬ জন দলীয় সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিতে চান। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবলা, সহসভাপতি মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন খন্দকার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর খান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন স্বপন, ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির-উল-হক সজীব দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড সভাপতি জামিল হোসেন পলাশ, থানা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আমিন, হোসেন হায়দার চৌধুরী হিরু, ধানমন্ডি থানা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম খান, একই থানার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিমউদ্দিন বাবুসহ অন্তত ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। দক্ষিণে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিউ মার্কেট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন চুন্নু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সহিদুল কবির সহিদ, নিউ মার্কেট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আবদুল খালেক দলীয় সমর্থন লাভের আশায় কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে জোর তদবির করছেন। দক্ষিণে ১৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল ও রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার। দক্ষিণে ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাশ্বের হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন। একই সংসদীয় এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য খিলগাঁও থানা সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মরহুম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে মো. রিসাল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদারসহ অন্তত ৬ জন দলীয় সমর্থন পেতে জোর তদবির ও লবিং করছেন। দক্ষিণের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মাকসুদ হোসেন মহসিন, সহসভাপতি শাহ আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আফসার উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম মিন্টু প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুন্দর আলী, সহসভাপতি আলতাফ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রচার ও গণসংযোগ করছেন। তারা সবাই দলীয় সমর্থন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। একই সংসদীয় এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সবুজবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক শামীম আলী মামুন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বি এম সিরাজুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ মহানগর দক্ষিণের সদস্য জেবির আক্তার, ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা সালমাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল মালেক আকন্দ প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করছেন।
এদিকে এত অধিক সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামী লীগ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে কাকে রেখে কাকে সমর্থন দেবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দলের নীতিনির্ধারণী মহল। তবে, এ বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বড় দল হিসেবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা একটু বেশি হবে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু দল যাকে সমর্থন দেবে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। যদি কেউ এর অন্যথা করে কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আভির্ভূত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক গতকাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সম্ভব নয়। দল যাকে সমর্থন দেবে তিনিই আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। সে হিসেবে, যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনের লাভের জন্য প্রার্থী একটু বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সবাইকে তো সমর্থন দেয়া সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্র থেকে যাদের বিষয়ে সমর্থন থাকবে তাদের হয়েই সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দলীয় হাইকমান্ড থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না আসলেও আমরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী যাচাই বাছাই করছি। যেসব প্রার্থীর জনপ্রিয়তা আছে, যারা এলাকায় সপুরিচিত ও জনগনের কল্যানে কাজ করবে এবং যারা দল অন্ত প্রাণ তাদেরকেই আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সমর্থন দেয়া হবে। আর যদি কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগ এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *