ঝড় এলো, এলো ঝড়
আম পড়, আম পড়
কাঁচা আম, ডাঁসা আম
টক টক, মিষ্টি
এই যা, এলো বুঝি বৃষ্টি!
রমজানের শুরু থেকে ভ্যাপসা গরম। তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোজাদারদের। মাঝেমাঝে বাতাসের ঝাপটায় চারদিকটা কিছুটা সহনীয় হয়ে উঠলেও। কাঠফাটা গরমে ঘাম ঝরে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরিবেশটা যখন এমন, তখন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার ভোরেই ঝরলো সেই স্বস্তির বৃষ্টি। তবে রূপ ছিল কালবৈশাখী ঝড়ের। চারদিকটা অন্ধকার করে কাঁপিয়ে দিয়ে বয়ে গেলো রাজধানীর উপর দিয়ে। সেই ঝড়ে পড়লো খসে কাঁচা আম। তবে তা কুঁড়ানোর আগেই ঝরতে লাগলো শিলাখণ্ড। ধীরে ধীরে তার বাড়তেই লাগলো। চারদিকটা শীতল হলো। তারপর বাড়ি ফিরে চলল ঝড়-বৃষ্টির দল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও রাঙামাটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, বুধবার তা প্রশমিত হতে পারে বলে আশা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।