সরকারি ঘর দেওয়ার নামে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগে

Slider জাতীয়

দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুরের কাহারোলের এক ইউপি সদস্য সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগের তদন্ত, এলাকাবাসীকে হুমকি দেওয়ায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে থানায় জিডি।

কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম সরকারি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে মুশিদপুর গ্রামের মোঃ শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগমের নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা বেগমের নিকট থেকে এগার হাজার টাকা গ্রহন করেন।

গত ২৮/০৩/২০২২ ইং তারিখে আবার তাদের কাছে বলে ক শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকায় মোতাদের নাম রয়েছে বাকি অবশিষ্ট ৫৯ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে তোমরা ঘর পাবানা।

নিরুপায় হয়ে জাহানারা ও জোসনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন মানিকের সরনাপন্ন হলে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিয়োগ করার পরামর্শ দেয়। তারা গত ০৫ এপ্রিল কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। যার অনুলিপি দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরেও প্রেরন করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান তদন্ত ভার প্রদান করেন চলতি দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছানাউল্লাহকে। তদন্ত কর্মকতা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছানাউল্লাহ ১১ এপ্রিল সোমবার বেলা ১২টায় সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগকারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করেন।

এব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকতা ছানাউল্লাহর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। শেষ না হওয়া পযন্ত কিছু বলতে পারছি না।

সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, সরকারি ঘর নিতে কোন টাকা লাগে না। ঘটনাটি আমার নির্বাচনের পূর্বে। তাই আমি এব্যপারে কোন বিতর্কে না জড়িয়ে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করতে বলি। তবে ঘটনা সত্য হলে ইউপি সদস্যকে টাকা ফেরৎ দিতে হবে মর্মে জানিয়ে দেই।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি কোন টাকা নেই নাই। তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

এব্যাপারে ভুক্ত ভোগীরা ইউপি সদস্যর দৃষ্টান্ত মূলক শান্তির দাবি করে বলেন, ইউপি সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম নিরপেক্ষতা হারিয়ে টাকার বিনিময়ে ফরিদ নামে এক ব্যক্তির পরিবারকে ৫টি ও সোনা উদ্দিনের পরিবারকে ২ সরকারি ঘর প্রদান করেন।

অপর দিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকতা তদন্ত শেষ করে চলে যাওয়ার পরে ভুক্ত ভোগীর সঙ্গে থাকা একই এলাকার মৃত সুশিল চন্দ্র রায়ের পুত্র নিরেন চন্দ্র রায়কে ইউপি সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম হুমকি দেওয়ায় কাহারোল থানায় তিনি একটি সাধারন ডায়রী করেন। যার নং- ৪৬৯, তারিখ ১১/০৪/২০২২ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *