অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২২ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। সেইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩১ মার্চ দিন ধার্য করে দেন।
ওইদিন অ্যাম্বুলেন্সে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে আদালতে হাজির করা হয় সম্রাটকে।
২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলাটি তদন্ত করে এক বছর পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন ‘অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে’ অর্জিত অর্থে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন সম্রাট।
মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় তিনি ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, এর মধ্যে অনেক ক্লাবে ক্যাসিনোর কারবার চলত।
অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্রাট ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন এবং বাড়ি করেছেন; এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে জানায় দুদক।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।