ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ ৩ এপ্রিল

Slider সারাবিশ্ব

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামী রোববার (৩ এপ্রিল)। ওইা দিন তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর দেশটির সংসদে ভোটাভুটি হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগের দিন সোমবার (২৮ মাচ) দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত সভা মুলতবি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক হবে বলেও জানান তিনি।

পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার জানান, দেশের সংবিধান অনুযায়ী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পরে ৭ দিনের মধ্যে ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক। সেই সময়সীমা মেনেই আগামী রোববার ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছে।

দেশটির ৩৪২ আসনের জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ইমরান খানের ১৭২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। তার নিজের দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পার্লামেন্ট সদস্য আছেন ১৫৫ জন। কিন্তু তাদের বেশ কয়েক জন এরই মধ্যে প্রকাশ্যে ইমরানের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। এছাড়া ইমরান সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) ৭ জন এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) ৫ সদস্য রয়েছেন। আর গত রোববার সমর্থন প্রত্যাহারকারী জামহুরি ওয়াতন পার্টির রয়েছেন এক সদস্য।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ইমরান খানের নির্দেশে সোমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন পিটিআই নেতা উসমান বুজদার। ওই পদে আরেক ‘বিক্ষুব্ধ জোট সঙ্গী’ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ)- নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে দেওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সংসদে তাদের সদস্য সংখ্যা ৫। এ পদক্ষেপের পর পিএমএল (কিউ) জানিয়েছে ইমরান খানের প্রতি তাদের সমর্থন অটুট আছে।

এদিকে মঙ্গলবার ইমরান খান আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এমএনএদের যৌথ বিরোধী দল কর্তৃক জাতীয় পরিষদে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই চিঠির একটি অনুলিপি দ্য ডনের কাছে পৌঁছেছে। এতে পাক প্রধানমন্ত্রী তাদের সতর্ক করেছেন যে, নির্দেশাবলীর কোনো লঙ্ঘনকে ‘সংবিধানের ৬৩-এ অনুচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্য দলত্যাগ হিসাবে গণ্য করা হবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *