আনসার ব্যাটালিয়নদের অভ্যন্তরীণ অপরাধের বিচার হবে দুটি আদালতে। এর মধ্যে একটি হবে ‘সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত’ এবং আরেকটি হবে ‘বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত’। এর মধ্যে বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনা দেয়া ইত্যাদি বড় অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর সর্বনিম্ন সাজা হবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।
এসব বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’–এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ সশরীর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাধারণ অপরাধের বিচার হবে সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। এসব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অপরাধ যেমন বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনা দেয়া ইত্যাদি বড় অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। এসব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া যাবে। এসব অপরাধের জন্য কোনোভাবেই পাঁচ বছরের কম সাজা দেয়া যাবে না।
এই দুই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য একটি আপিল ট্রাইব্যুনালও থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটু আই) আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি হলে প্রকল্পের মাধ্যমে চলা সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক এটু আইয়ের কার্যক্রম এই এজেন্সির মাধ্যমে চলবে। এটি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে ‘অথরিটি টু ইনোভেশন’–এর প্রস্তাব করা হলেও মন্ত্রিসভা এজেন্সি করার সিদ্ধান্ত দেয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই এজেন্সি পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সচিবের সভাপতিত্বে ১৬ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে উন্মুক্তভাবে।