যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট মারা গেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজ জন্মভূমি চেকোস্লোভাকিয়া থেকে নাৎসিদের ভয়ে তার পরিবার শিশু অবস্থায় তাকে নিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চেক বংশোদ্ভূত মেডেলিন অলব্রাইট।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের একজন কঠোর কূটনীতিক ছিলেন অলব্রাইট। ১৯৯০-এর দশকে বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত দুটি সংকট রুয়ান্ডা এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় গণহত্যায় নিজেকে জড়াতে চাননি তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়, আমরা এই ঘোষণা দিতে গভীর ভাবে শোকাহত যে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬৪তম এবং দেশটির প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ম্যাডেলিন কে অলব্রাইট আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। অলব্রাইটের কর্মজীবনেরও প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমি যখনই ম্যাডেলিনের কথা ভাবি, আমি সবসময় তার প্রবল বিশ্বাসের কথা মনে রাখব। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দৃঢ় ভালোবাসা মনে ধারণ করতেন এবং নিজের দেশকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে নিযুক্ত হন অলব্রাইট। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১২ সালে অলব্রাইটকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করা হয়। তারপরেই যুক্তরাষ্ট্রের
পরবর্তী দুই নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কন্ডোলিজা রাইস ও হিলারি ক্লিনটন।