মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশেও

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশেও ।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর দানা বাঁধা ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে মিয়ানমারে।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, তীব্র গরমে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আকাশে মেঘ যতটুকু ছিল, তা–ও উড়ে গিয়ে লঘুচাপের আশপাশে জড়ো হয়েছে। এতে সকাল থেকেই রোদ সরাসরি ভূখণ্ডে নেমে এসে গরম তৈরি করছে। আজ রোববারের (২০ মার্চ) মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপ যদি আরও শক্তি অর্জন করে, তাহলে আগামীকাল সোম অথবা পরদিন মঙ্গলবারের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

এদিকে শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাঙামাটি, ফেনী, চাঁদপুর, সিলেট, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়সহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে- ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে, ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। সর্বনিম্ন ছিল ২২ দশমিক ৩।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *