১৫ মার্চকে ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসঙ্ঘ। মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতি ক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি-এর পক্ষে পাকিস্তান এ প্রস্তাব উত্থাপন করে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ তারিখে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু’মসজিদে উগ্রবাদী হামলার ঘটনাকে স্মরণ করে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ওই সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু’মসজিদে এ বন্দুকধারী (খ্রিস্টান) ব্যক্তির উগ্রবাদী হামলার কারণে ৫১ (মুসলিম) ব্যক্তি নিহত ও ৪০ জন আহত হন।
এ প্রস্তাব উত্থাপনের সময় জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনির আকরাম বলেন, বিশ্বে মুসলিম বিদ্বেষী তৎপরতা এখন একটি বাস্তব বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিস্তারও লাভ করছে।
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের সভাকক্ষে পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন, মুসলিমবিরোদী বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটা ধর্ম ও বিশ্বাসের সংক্রান্ত অধিকারের লঙ্ঘন। বর্তমান সময়ে এ বিষয়টা খুবই ভয়াবহ। এটা এক ধরনের বর্ণবাদ। এ কারণে মুসলমান ব্যক্তিরা খারাপ ধারণা, বিদেশাতঙ্ক ও নিম্ন ধরনের আচরণের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া মুসলিম নারীরা তাদের ধর্মীয় পোষাক পরার কারণে নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
১৫ মার্চকে ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।