তেলের ভ্যাট প্রত্যাহারে দাম কমবে ১ টাকা!

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

অবশেষে ভোজ্যতেলের ওপরে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এতে খুচরা বাজারে খুব একটা দামের পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভ্যাট প্রত্যাহারে ভোজ্যতেলে লিটারপ্রতি দাম কমবে এক থেকে দেড় টাকা।
তেলের ভ্যাট প্রত্যাহারে দাম কমবে ১ টাকা!

সোমবার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট প্রত্যাহার-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায় পর্যায়ে সব ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ বহাল থাকবে। বর্তমানে সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। তবে আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। এ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়নি।

তবে প্রজ্ঞাপন জারির পর ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ শুল্ক প্রত্যাহারে এক থেকে দুই টাকা কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। দরকার ছিল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানো। সেটি না হওয়া পর্যন্ত বাজারে প্রভাব পড়বে না।

এদিকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরে এনবিআরকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আসন্ন পবিত্র রমজান ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে শুধু উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে নয়, আমদানিসহ ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে সব পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় দেশীয় বাজারেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোজ্যতেল মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে হলে সরবরাহব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে হবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের যে দাম, স্থানীয় কারখানায় পরিশোধিত হয়ে এগুলো বাজারে ঢুকলে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা তিন লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *