টানা ১৯ দিন ধরে ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৯০ শিশু নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, দেশটিতে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ৯০ শিশু নিহত এবং শতাধিক শিশু আহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিয়েভ, খারকিভ, দনেৎস্ক, চেরনিহিভ, সুমি, খেরসন, মিকোলাভিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে।
ইউক্রেন হামলার শুরু থেকেই রাশিয়া দাবি করে আসছে যে, তারা বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত বহু বেসামরিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিউপোল। শহরটি দখলে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে দুই হাজার ১৮৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিটি কাউন্সিল। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে অবরুদ্ধ মারিউপোলের সিটি কাউন্সিল বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মারিউপোলে দুই হাজার ১৮৭ জন বাসিন্দাকে হত্যা করেছে পুতিন বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় এ শহরে কমপক্ষে ২২টি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ।
এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩০০ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, রুশ হামলা পর এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৮০ জন নাগরিক ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে শুধু পোল্যান্ড একাই ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।