টিপুকে ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে আগৈলঝাড়ায় হত্যা করা হয়’

Slider টপ নিউজ

66630_razia

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ছাত্রদল নেতা টিপু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে বরিশালের অগৈলঝাড়ায় নিয়ে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু হাওলাদারের মা রাজিয়া বেগম ও স্ত্রী সোমা আক্তার এ অভিযোগ করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজিয়া বেগম বলেন, ‘দ্যাশে তো আইন-কানুন আছে। অপরাধ করলে তার শাস্তি হইবে। তাই বইল্লা কি বিচার ছাড়াই পুলিশ একটা মানুষ মাইরা হালাইবে। এহন মুই দুইডা নাতনি ও পোলার বউ নিয়া কই যামু। ওরে আল্লারে, আমার টিপুরে ফিরাইয়া দেন।’ সোমা আক্তার বলেন, আমরা জানতে পারিÑ ১৯শে ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশ ঢাকা থেকে টিপুকে আটক করে হাজারীবাগ থানায় নিয়ে গেছে। পরদিন সকালে তাকে আগৈলঝাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর শুনে শাশুড়িসহ আগৈলঝাড়া থানায় গেলে পুলিশ বলেÑ টিপু এখানে নেই। তারপর থানার দারোগা আমাদের থানা থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, আগৈঝাড়া থানার পাশেই আমাদের বাড়ি। ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে থানার পাশে ৮-১০টা গুলির শব্দ পাই। পরদিন সকাল বেলা শুনতে পাইÑ টিপু ও জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাওলাদার বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। সোমা আক্তার বলেন, একটি মিথ্যা গাড়ি পোড়ানো মামলায় এভাবে পুলিশ একজনকে গুলি করে হত্যা করতে পারে? আমার তিন বছরের মেয়ে হাফসা ও তিন মাস বয়সী আফরোজাকে নিয়ে এখন কোথায় যাবো? তাদের আমি কেমন করে মানুষ করবো? এ সময় তিনি তার স্বামীর হত্যার সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে টিপু হওলাদারের শাশুড়ি নুরুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইবাস সড়কের কুয়াতিরপাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বরিশালে আগৈলঝাড়া উপজেলার ছাত্রদলের য্গ্মু সম্পাদক টিপু হওলাদার ও জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাওলাদার নিহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *