বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের তালিকায় আধিপত্য বজায় রেখেছে ঢাকা। বুধবার বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা। এদিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে এর বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) ১৯৪ এ রেকর্ড করা হয়েছে।
রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৯০ ও ১৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ১০১ ও ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘ দিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসঙ্ঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।