‘কতটুকু কাজ করতে পারব সেটা নিয়ে নিজেই সন্দিহান’

বিনোদন ও মিডিয়া

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন এই নতুন সভাপতি।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‌‘আমি নির্বাচনের ফলাফলে খুব বেশি খুশি হতে পারিনি। আমার প্যানেলের অনেকেই পরাজিত হয়েছেন। আমার কাছে সভাপতি পদের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদকে বেশি কার্যকরি মনে হয়। সেই পদেই আমার প্যানেল নির্বাচিত হতে পারেনি। ফলে কতটুকু কাজ করতে পারব সেটা নিয়ে নিজেই সন্দিহান। আমার আরও দুটি শক্ত হাত রিয়াজ ও ডি এ তায়েব পরাজিত হয়েছে। রিয়াজ সংগঠক হিসেবে দারুণ ছিল, অন্যদিকে তায়েব প্রশাসনিক দিক থেকে এগিয়ে। তারা নির্বাচিত হলে আমার জন্য সুবিধা হতো। সত্যি বলতে, নিপুণের পরাজয়টা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে।’

আপিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফজরের নামাজের আগে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আমি বাসায় ফিরেছি ভোরে। এদিকে আপিলের সময় মাত্র ১টা পর্যন্ত। আমি ঘুমিয়েছি সকালে, বাসা উত্তরায়। ঘুম থেকে উঠে সেখান থেকে এফডিসি যেতেও তো সময় লাগে। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করেই হয়তো আপিল করার সময় কমিয়েছে। তারপরও আমি আপিল করেছি। কাল রাতেই বিষয়টি অবগত ছিলাম বলে সময়মতো কাজ করতে পেরেছি। এখন দেখা যাক ফল নতুন করে কি আসে!
ভোট বাতিল প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ২৬টি ভোট বাতিল করেছে। যার মধ্যে নিপুণ পেয়েছে ১৬টা। এই ১৬টা ভোট কাউন্ট হলেই ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যেত। এখন দেখার বিষয় কমিশন ইচ্ছা করে ভোটগুলো বাতিল করেছে কি না! আমি জেতার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী।’

নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ রবিবার আমার প্যানেলের সবার সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক আছে। সেখানে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলব, নতুন সিদ্ধান্তও আসতে পারে।’

নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া ২২টি পরিকল্পনার বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এখন কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমার ডান হাতই নেই। নিপুণ পাস করলে তাকে নিয়ে ইশতেহারগুলোর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো। এখন জায়েদ আমাকে কতোটুকু সমর্থন করবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *