একটা বড় অস্ত্রের চালান ভারতের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে– কলিমউল্লাহ

Slider বাধ ভাঙ্গা মত

আমাদের এই সময়টা বাংলাদেশের জন্য ক্রুসাল একটা সময়। গতকাল এবং আজকে এই সময়ের মধ্যে একটা বড় অস্ত্রের চালান ভারতের উদ্দেশ্যে খালাস হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে। এবং এটি ধরেই নেয়া হচ্ছে সেভেন সিস্টারের উদ্দেশ্যে। ঘোষণাটা সেই ১০ ট্রাক অস্ত্রের মতো একটি বিষয়। এবং এটা নিয়ে কোয়াইট একটা ডিপ্লোমেসি বিষয়। এখন এই যে বাস্তবতা…। গত ২৬শে জানুয়ারি ফেসবুক পেজে প্রচারিত এক টকশোতে এ মন্তব্য করেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

ফেস দ্য পিপল নামে ওই টকশোতে এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান গতকাল বলতে মানে আজ ২৬শে (জানুয়ারি) তারিখ, গত ২৫শে জানুয়ারি ২০২২ সালের কথা বলছেন। তখন অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মাথা নাড়িয়ে অর্থাৎ হ্যাঁ সূচক হিসেবে বলেন, ২৫ তারিখ (জানুয়ারি) বিকালে থেকে আজকের মধ্যে ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাস হয়েছে।

এবং সেগুলো খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এইরকম একটি সন্দেহের তীর ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের দিকে ছুড়ে দেয়া হয়েছে।

মানে খোলামেলাভাবে বললে দাঁড়ায়-এরকমটি বেসিক্যালি চাইনিজ কো-অ্যাসাইনমেন্ট দেআর টুয়ার্ড সেভেন সিস্টার। এই যে অবস্থাটি। এটি আপনার চাউর হওয়ার যে ব্যাপারটি ঘটলো। সেটা থেকেই বোঝা যায় যে, ভারত কতটা শ্যেন দৃষ্টিতে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে। এবং আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সজাগ নজর আছে।
আমরা ব্রাহ্ম স্টাইলে আপনার অ্যাডহক একটা পলিসি পারসুয়েন্সের ভেতর দিয়ে কিন্তু আমাদের পলিসি পারসু করি। যেটা আসলে খুব একটা বিজ্ঞানসম্মত নয়।

আপনার সেই ৭২ থেকে শুরু করে ২২ পর্যন্ত গত ৫০ বছরে আমরা যদি কন্সটেন্সলি পারসেসটেন্সলি আমাদের ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট.. সচেষ্ট থাকতাম তাহলে কিন্তু আজকের এই পরিস্থিতি হয় (না)। সুতরাং সময় এসেছে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট এই পলিসি পারসুু করার। এবং তারপরে অন্য বিষয়।
এ সময় সঞ্চালক জানতে চান আমরা কতটুকু ক্ষমতা রাখি? আর আপনি বলছিলেন যে, আমাদের প্রতি তারা নজর রাখছে, নজরটা কি মোড়লগিরি করার নজর? নাকি বন্ধত্বপূর্ণ নজর? কোনটা?
ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, এটা বন্ধত্বপূর্ণ নজর বলাটা সরলিকরণ করা হবে।
আসলে তারা তাদের স্বীয় জাতীয় স্বার্থে একেবারে যেটাকে বলে ডিটেইল নজর যেটা- সেটা তারা মেইনটেইন করছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সঞ্চালক, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন যে অন্যান্য সংকটের কথা, যেটা আপনি বললেন- এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে পজিশনে আছে? কি কি অবস্থায় আছে? আমরা জানি যে কোনো দিকেই যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে ভারতের বা মোড়লগিরির কোনো চাপ কি আসে আমাদের এখানে? সেখানে কি আমাদের পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে? কারণ সেখানে চায়না রয়েছে।

কলিমউল্লাহ বলেন, দেখুন গতকাল আমার জানা মতে কলকাতায় অবস্থিত যে আমেরিকান কনসাল জেনারেল তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং আজকে চলে গেছেন। কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল অফিস বরাবরই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই ৬৩ জেলায় বোমা হামলার ঘটনার সময় থেকে শুরু করে গ্রেনেড হামলার যে কাহিনী সেই সময় পর্যন্ত। সুতরাং এই মুভমেন্টগুলো আমাদের আসলে খেয়াল করা দরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তাদের জাতীয় স্বার্থে একে-অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখছে। বেসিক্যালি আমাদের ভারত সীমান্ত দেখা-শোনা করে ইসরাইল।

আমাদের এই হঠাৎ করে সীমান্তে আপনার প্রাণহানির ঘটনাগুলো বেড়ে যাওয়ারও মূল কারণ কিন্তু ইসরাইল। তারা বিএসএফ’র সঙ্গে অ্যাডভাইজরি একটি রোল প্লে করে। কলকাতায় তাদের একটা আওরঙ্গজেব রোডে অফিস আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কলিমউল্লাহ বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে আমরা সম্পর্কটা নরমালাইজ করি নাই। অনেক মুসলিম দেশ এই বাধা অতিক্রম করেছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল।

এখন কিন্তু ইসরাইল তাদের স্বার্থে আমাদের সীমান্তে নজরদারি বজায় রেখেছে। অ্যাডভাইজরি রোল-প্লে করছে বিএসএফ’র সঙ্গে। আমাদের কোনো ক্লু নেই। যদি আমাদের এক ধরনের ডিপ্লোম্যাসি থাকতো তাহলে ব্যাকফুটে থাকতে হতো না। আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামের অনেক নাগরিক ইসরাইলের সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছে। ইসরাইল যদি আরেকটি ইহুদি স্টেট সংস্থাপন করতে চায় আমাদের দোরগোড়ায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত, ইসরাইল ও মিয়ানমার একসঙ্গে জড়িত বলে আমার ধারণা। যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *