নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু সেটা দ্বন্দ্ব নয়।
শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। আমিও আওয়ামী লীগ করি উনিও আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয় অনেক কিছু নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আদর্শের দ্বিমত নেই। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি ভোট চাইতে আসতে পারবেন না। যারা আসল আওয়ামী লীগ তারা সবাই মাঠে। তারা কারও বলার অপেক্ষায় থাকে না।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, প্রতিপক্ষ বিভিন্ন কথা বলবেই। আমি কী কাজ করেছি, কী করিনি সেটা উনিও যখন যে ওয়ার্ডে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তা বলতে পারছেন না। অথবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি বলছেন না। আমি আবারও বলি, উন্নয়ন লোক দেখানো হলে তার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এমন কোনো রাস্তা দেখাক যে রাস্তায় ড্রেন হয়নি। তিনি যদি বলেন, আমি কাজ করিনি, তাহলে তার ভাই খোরশেদ কাউন্সিলর নিজেই ব্যর্থ। কারণ তাকে আমি প্রায় দেড়শ কোটি টাকার মতো কাজ দিয়েছি। প্রতিটা ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে। উনি কেন দেখেন না তা আমি জানি না।
তিনি বলেন, শহরে শেখ রাসেল পার্ক হচ্ছে। তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে কিনা আমি জানি না। সিদ্ধিরগঞ্জের লেক ভরাট করে উনি রাস্তা বানাতে চায়। সিদ্ধিরগঞ্জবাসী কী অপরাধ করেছে আমি জানি না। এমন সুন্দর একটা জলাশয়কে সংরক্ষণ না করে সেটা ভরাট করে রাস্তা করতে চাচ্ছেন। উনি দেখেছেন রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের সঙ্গে আমার সমস্যা আছে। সমস্যা থাকতেই পারে, সেটা আমি সমাধানও করেছি। সমাধান করেই কাজ করছি। নারায়ণগঞ্জে ঘুরলেই দেখবেন কী পরিমাণ কাজ হয়েছে এবং কোথায় কাজ হয়নি।
আমি যেহেতু অনেকদিন ধরে দায়িত্বে আছি উনি কিছুটা ক্রিটিসাইজ করতেই পারেন। এটা দোষের কিছু না। ভোটাররা সেটা গ্রহণ করছেন কিনা সেটা দেখার বিষয়। তিনি যে মিথ্যা কথা গুলো বলছেন সেটা ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বিশাল দল। আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথা না যে বিএনপি তার সঙ্গে আছে কী নেই, সেটা খোঁজ নেন। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে ব্যস্ত ভোট চাইতে। কারণ আমরা ভোটে বিশ্বাসী, আমার লক্ষ্য ভোটার। কে কী প্রচার করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সবসময় আমার সঙ্গে ছিল, এবারও আছে। নেতৃস্থানীয় সব নেতারা আমার সঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধারাও সবসময় আমার পাশে ছিলেন।
তিনি বলেন, জন্ম সনদ যেহেতু নতুন সিস্টেম করা হয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সমস্যাটা একটি সিদ্ধিরগঞ্জের ওদিক ছিল কিন্তু এখন ঠিক হয়ে গেছে। তবে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। ট্যাক্স বাড়ানোর ইস্যুটা সম্পূর্ণ স্ট্যান্টবাজি। জনগণ গত পাঁচ বছর ধরে কর দিচ্ছে, আমি কর বাড়াইনি। আমি জয় বাংলা বলেছি সেটা নিয়ে তারা অপপ্রচার করতে চেয়েছে। তারা মসজিদ-মন্দিরের জায়গা নিয়েও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।