শহীদ মিনারে জুতা পায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সভা!

Slider রাজনীতি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। জুতা পায়ে বেদিতে উঠে পথসভা করার ভিডিও এবং ছবি আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।

জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী একে সামসুদ্দিন আবু মিয়ার (নৌকা) সমর্থনে সভাটি হয়। আবু মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সভায় শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে উঠেছিলেন প্রার্থী আবু মিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শহীদ মিনার পেছনে রেখে বেদির উপর সাজানো চেয়ারের সারিতে বসে ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। তিনজন বাদে বেদিতে থাকা নৌকার প্রার্থীসহ প্রত্যেকর পায়েই ছিল জুতা। এ সময় প্রার্থীসহ দুজনকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তখনো তাদের পায়ে জুতা ছিল। এই ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ হলে শুরু হয় সমালোচনা।

ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম মোল্লা (আনারস) শহীদ মিনারে জুতা পায়ে আবু মিয়ার নির্বাচনী সভার তীব্র নিন্দা জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটে। প্রচারণা শুরুর ৭ দিনের মাথায় এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নির্বাচনী এক পথসভায় হয়।

চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তা নিন্দাজনক।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘নো নো নো। জুতা নিয়ে ওঠেনি কেউ। এ রকম কোনো ঘটনা হয়নি। আমি ছিলাম। আরও লোকজন ছিল। আমি তো জুতা লইনি, কিন্তু কীভাবে যে জুতা দেখাইছে! শহীদ মিনার করছি আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সেখানে যদি কেউ জুতা নিয়ে ওঠে সেটা অন্যায়, শহীদদের অবমাননা হয়। নিজের অজান্তে যদি কিছু হয় তা মার্জনীয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *