শ্রীপুরে প্রতীকের আগেই প্রচারণা, এমপির জনসভা নিয়ে আলোচনা

Slider টপ নিউজ

ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোট হবে ৫জানুয়ারী। এরমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ হয়েছে। যাচাই বাছাই প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ শেষে ২০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার নির্দেশ দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এর আগেই শুরু হয়ে গেছে প্রচার প্রচারণা। এমনকি আচরণ বিধির বাইরে স্থানীয় সাংসদও সকল ইউপির নৌকার প্রার্থীদের সাথে নিয়ে ভোট চেয়ে জনসভায় কেঁদে ফেলেছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরণের আলোচনা।

অনুসন্ধানে জানা যায়,শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোট হবে ৫জানুয়ারী। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গেলো। ৮টি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫৫জন। ২৪টি সংরক্ষিত নারী সদস্যের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮৩জন। ৭২টি ইউপি সদস্যের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩২৭জন। ১২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহার ও ২০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের তারিখ নির্ধারিত।

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসারে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা প্রচারণায় যাবেন। নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা পূর্বে প্রচারণা শেষ হবে। কিন্তু শ্রীপুরে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। অনেক আগে থেকেই প্রচার প্রচারণা চলছে। মিটিং মিছিল, র‌্যালী, পথসভা এমনকি স্থানীয় সাংসদ প্রধান অতিথি হয়ে নির্বাচন অফিসের পাশেই জনসভা করেছেন। জনসভায় সাংসদ ৮ইউনিয়নের ৮জন নৌকার প্রার্থী নিয়ে এক মঞ্চে সভা করে ভোট চেয়ে কেঁদে ফেলেন। আবেগী এই ছবি সহ সংবাদ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিগত সফরে গেলে অথবা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের ফলে আচরণবিধি পরিপন্থী কার্যক্রমের সম্ভাবনাসহ নির্বাচনী পরিবেশ প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা থাকে। ইউপি ‘আচরণবিধিমালা ২০১৬’ এর বিধি ২২ অনুযাযী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচার ও কাজে যেতে পারবে না।

বিষয়টি আচরণ বিধি লংঘন মর্মে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কর্মকর্তারা স্বীকার করলেও তাদের নাম দিতে মানা আছে। তারা বলছেন, এমপি সাহেব এটা না করলেও পারতেন।

এদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা রীতিমত প্রচারণা চালাচ্ছেন। নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য প্রতীকের প্রার্থীরা আইন মেনে প্রচারণা থেকে বিরত থাকছেন। নির্বাচনের পূর্বে এমন অবস্থা হলে কেমন নির্বাচন হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *