ইউপি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সহিংসতার আশঙ্কা শামীম ওসমানের, এসপির নাকচ

Slider রাজনীতি


নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব, যার যার ভোট সে সে দিবে। যে ব্যত্যয় ঘটাবে আমরা প্রশাসনের অনুরোধ জানাবো তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমি চাইবো যাতে হান্ডেড পার্সেন্ট ফ্রি এন্ড ফেয়ার একটা নির্বাচন হয়।

১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে তাৎক্ষণিক ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যে যেই দলই করি না কেন, এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ। আমি ব্যক্তিগতভাবে অসুস্থ। তারপরও একটি খবর পেয়ে আমাকে ছুটে আসতে হয়েছে। খবর পেয়েছি, একটি তৃতীয় পক্ষ, যেটা হতে পারে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি, হতে পারে খন্দকার মোশতাকের বংশধর কিংবা উগ্র মৌলবাদী শক্তি। এরা চেষ্টা করছে। যেহেতু সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা তো দূরের কথা ধাক্কাধাক্কিও হয়নি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি নির্বাচনে ভূমিকা রাখছেন। যেহেতু নির্বাচনী এলাকাটা আমার সেহেতু একটা ইস্যু তৈরি করে, একটা ক্ষেত্র তৈরি করে একটা লাশের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। দুই-চারটা লাশ তাদের দরকার। এটারে একটা ন্যাশনাল ইস্যু বানাবে। প্রশাসনের সাথে আমি আলাপ করেছি, আজকেও করবো।

শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের সাথে সোমবার আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্লোগান সে মোতাবেক প্রত্যেক নাগরিক তার ইচ্ছে অনুযায়ী নিজস্ব ভোট দেবেন। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কেউ সমস্যা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান নির্বাচনী এলাকার বেশির ভাগই আমার। ২০১৬ সালের ২৬ জুন বোমা হামলা ঘটেছে। আগামীতে সামনে কিছু নির্বাচন আছে, সেই নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে কিছু শক্তি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তারা চেষ্টা করবে, যেন আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই।

আমরা চাই ফ্রী এন্ড ফেয়ার নির্বাচন হোক। নির্বাচনের যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে এজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন যথেষ্ট সজাগ রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।

তবে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আশঙ্কা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ‘পুরো জেলায় সবকটি ইউনিয়ন পরিষদে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে। সহিংসতার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। এমন কোনো আশঙ্কাও আমরা করছি না। তারপরও আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *