রাজশাহী মহানগরীর মহিতারের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান ইয়ামিন (৩৫) ও ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক হোসেন ইশার (২৪) পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তবে, ঘটনার পর আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, শিবির ক্যাডাররা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ হুয়াকবর’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ হামলা ছাত্রশিবিরেরই বলে দাবি করেন তারা।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মতিহারের বিনোদপুর বাজারের কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে বিনোদপুর বাজারের কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের সামনে ইয়ামিন ও ইশতিয়াকসহ চার-পাঁচজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা জানান, ওই সময় শিবির ক্যাডার ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ হুয়াকবর’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় আতঙ্কে সেখানকার মানুষ দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও ইয়ামিন ও ইসতিয়াক পালাতে পারেননি।
তিনি জানান, ১৫-২০ জনের শিবির ক্যাডার তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ইয়ামিনের বাম পা বাম হাত এবং ইসতিয়াকের দুই পা’সহ সারা শরীরে কুপিয়ে জখম করে। তারা ইয়ামিনের বাম পায়ের উরুতে একটি গুলি করে এবং রগ কেটে দেয়। পরে তারা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তাদের দু’জনের শরীরেই এলোপাতাড়ি কোপানোর জখম রয়েছে। তারা বর্তমানে(রাত পৌনে ১২টা) অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষিদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান এই ছাত্রলীগ নেতা।
মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ জানান, হামলার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে শিবির ক্যাডাররা জড়িত। তারা কৌশলে হামলা করে রাতের আঁধারে পালিয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারে এরই মধ্যে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।