তিস্তা এলাকায় রেড এলার্ট ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার বাড়িঘর প্লাবিত

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে ফ্লাট বাইপাসটি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন করছে। পানির স্রোতে ভেসে গেছে গবাদি পশুসহ অসখ্য গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আবাদি ফসলের।
জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকালে থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার সকাল পর্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং বুধবার সকালে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার কারণে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ যৌথবাধ, স্বপনবাধ ভেঙে গিয়ে ৩ হাজার পরিবার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া এলাকার রিংবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ১০০০ পরিবার, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেরশ্বর এলাকার গ্রইনবাধ ভেঙে গিয়ে ১৫০০ পরিবার, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকার টিবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ৭০০ পরিবার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী এলাকার তিস্তার ডানতীর স্পার বাঁধ দুটি ভেঙে গিয়ে ১০০০ পরিবার ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা এলাকার বাংলার জ্যোতি ও বাইশপুকুর বাঁধ ভেঙে ১৩০০ পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ডালিয়া (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুদৌলা প্রিন্স বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে, জারিকরা হয়েছে রেড এলার্ট এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান (অঃদাঃ) বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদী এলাকার কয়েকটি বাঁধ ভেঙে নদী বেষ্টিত বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *