কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘যুবলীগ’ নেতা ও শিবিরকর্মী নিহত

Slider জাতীয়

64278_b4

র‌্যাবের সঙ্গে কথিত পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা ও গাইবান্ধায়  শিবিরকর্মী নিহত হয়েছে। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গাইবান্ধায় নিহত মোস্তফা জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য এবং পলাশবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি। আর ঝিনাইদহে  নিহত রফিউল ইসলাম ওরফে ছোট তারেক (৪০)কে  নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট  পার্টির আঞ্চলিক নেতা বলে দাবি করেছে র‌্যাব। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিহতের পরিবারের দাবি তারেক যুবলীগ নেতা। মঙ্গলবার ভোররাতে সদর উপজেলার চুটলিয়ায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ ৮টি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। নিহত তারেক ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গুচ্ছ গ্রামের জলিল উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় র‌্যাবের ২ কনস্টেবল আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন নিয়াজ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা রফিউল ইসলাম ছোট তারেককে সোমবার রাতে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাকে নিয়ে র‌্যাব রাতেই অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বের হয়। তারা সদর উপজেলার চুটলিয়া নামক স্থানে ভোর ৪টার দিকে পৌঁছালে তারেকের সহযোগীরা তারেককে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ের ছোট তারেক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ সময় র‌্যাবের কনস্টেবল মিলন সাহা ও গোলাম মোস্তফা আহত হন। ছোট তারেককে উদ্ধার করে স্থানীয় সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঝিনাইদহ থানার উপ-পরিদর্শক গোকুল চন্দ্র অধিকারী বলেন, সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার চুটটিয়া ও তেঁতুলতলার মাঝামাঝি একটি মেহগনি বাগান থেকে তারেকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা  হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদের দাবি, নিহত তারেক মহারাজপুর ইউনয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। এক সময় তিনি চরমপন্থি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ১৯৮৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, হতদরিদ্র তারেক স্থানীয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করতেন। এদিকে, গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোস্তফা মঞ্জিল (৩৩) নিহত হয়েছেন। গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায়  গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত মোস্তফা জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য এবং পলাশবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি। নিহত মোস্তফা মঞ্জিল গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জছিজল মাস্টারের ছেলে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১৩ অবরোধে সড়কে টহল দিচ্ছিল। গতকাল ভোরে র‌্যাবের গাড়িটি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায় পৌঁছলে মোস্তফা মঞ্জিল ও তার সহযোগীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের চেষ্টা করে এবং গুলি  ছাড়ে। এ সময় র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে মোস্তফা মঞ্জিল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *