গাজীপুর: সদ্য নোবেল বিজয়ী সাংবাদিক তার প্রথম বক্তব্যে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তার একথা গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগে চাপা ভয়কে একধাপ এগিয়ে নিলো।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগে যে দ্বন্দ ফ্যাসাদ শুরু হয় তার প্রধান ভ্যানু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কথিত অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগে তীব্র উত্তাপ চলছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর সভাপতির নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও গাসিক মেয়রের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ এখন পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। প্রতিনিয়ত দুটি গ্রুপ পরস্পরের বিরুদ্ধেবিভিন্ন মাধ্যমে রাজনৈতিক আক্রমণ করছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড জাহাঙ্গীর আলমেকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে । তিনি ৩ অক্টোবর দেয়া চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। সেই কারণে ১৮ অক্টোবর জবাব দাখিলের শেষ দিন। ধারণা করা হচ্ছে, এখন থেকে ৭ দিন পর কাউন ডাউন শুরু হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে,১৮ অক্টোবর জবাব প্রপ্তির পর দলীয় সভায় তা উপস্থাপন করা হবে। অত:পর দলীয় সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাখ্যয় সন্তুুষ্ট হলে আন্দোলন কারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি জাহাঙ্গীর আলম দোষী হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপশি আভ্যন্তরীন বিষয়ে রাজপথে আন্দোলনের জন্য ১৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হতে পারে।