ঢাকা: এক নারীকে যৌন হয়রানির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দায়ের হওয়া মামলায় ঢাকা সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এদিন এ আসামি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ প্রমুখ আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে চিত্তরঞ্জনের নারীর শ্লীলতাহানির ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই নারী সবুজবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের দিন আবার সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই নারী হ্যা বলে কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করে ফিরে আসেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।
তবে এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের দাবি, ‘ওই সময় নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলাম। নাটকের নাম “ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই”।’ নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখল নিয়ে তার শ্বশুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। সে কারণে এ মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে।