তালেবানের হাত থেকে পাঞ্জশিরকে মুক্ত রাখতে তুমুল যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এটিই এখন দেশটির একমাত্র স্বাধীন অঞ্চল, যা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বশক্তি ব্যয় করেও তালেবান পাঞ্জশির দখলে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, সেখানে এখনও তুমুল যুদ্ধ চলছে। এতে প্রায় ৬০০ তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছে সহস্রাধিক তালেবান সদস্য। এক টুইটে এমন তথ্যই জানিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা এনআরএফ-এর মুখপাত্র ফাহিম দেশটি। এতে তিনি বলেন, প্রায় ৬০০ তালেবান সন্ত্রাসীকে পাঞ্জশিরের বিভিন্ন অংশে হত্যা করা হয়েছে।
আটক করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসীকে। এরমধ্যে অনেকেই নিজেরাই আত্মসমর্পন করেছে।
এনআরএফ যে তালেবানের হতাহতের যে দাবি করেছে তা অস্বীকার না করলেও পাল্টা টুইট করেছে তালেবানও। এতে সংগঠনটির মুখপাত্র বিলাল কারিমি দাবি করেছেন, তারা পাঞ্জশিরের অন্তত ৪টি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। জেলাগুলো হচ্ছে, খিনিজ, উনাবাহ, শতুল ও পারিয়ান। তবে কোনো পক্ষের দাবিই স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির শহরগুলো দখল করতে থাকে তালেবান মিলিশিয়ারা। গত ১৫ আগস্ট নাগাদ দেশের ৩৪ প্রদেশের ৩৩টিই তালেবানের দখলে চলে আসে। তবে এখনও হার মানেনি পাঞ্জশির। সেখানে থাকা প্রতিরোধ যোদ্ধারা তালেবানকে থামিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ভূপ্রাকৃতিক কারণে পাঞ্জশিরে প্রবেশ অত্যন্ত কঠিন। এছাড়া পাঞ্জশিরের যোদ্ধাদের বীরত্বের গল্পও সমগ্র আফগানিস্তানজুড়ে প্রচলিত রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সমগ্র আফগানিস্তান শাসন করলেও এই পাঞ্জশির দখল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এবারও প্রায় ১০ হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধা পাঞ্জশিরকে বাঁচাতে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।