গাজীপুরে পরীমনি ও পিয়াসার যাতায়াতঃ আলোচনায় রিসোর্ট!

Slider টপ নিউজ

ঢাকাঃ চিত্রনায়িকা পরীমনি ও মডেল পিয়াসার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের ফরেনসিক পরীক্ষা করছে সিআইডি। মোবাইল ফোন থেকে এই দুইজন কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তার একটি ধারণা পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া কিছু তথ্য, ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। এসব তথ্য, ছবি ও ভিডিও তদন্তে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরীমনি ও পিয়াসার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এমন ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীমনি ও পিয়াসার প্রতারণা ও ফাঁদে ফেলার প্রধান অস্ত্র ছিল তাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল। যাদের সঙ্গে তারা সময় কাটাতেন তাদের বিতর্কিত স্থিরচিত্র ও ভিডিওগুলো তারা নিজেদের ল্যাপটপে সংরক্ষণ করতেন। সংরক্ষণের আসল উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়।

টাকা না দিলে ভিডিওগুলো ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করা হতো। পিয়াসা ও পরীমনির কাণ্ডে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট আলোচনায় এসেছে। ওই রিসোর্টে যাতায়াত করতেন পরীমনি ও পিয়াসা। গ্রেপ্তার হওয়া মডেল মৌ ২ বার ওই রিসোর্টে গিয়েছেন। শক্ত নিরাপত্তা বলয় ও উঁচু প্রাচীর ঘেরা ওই রিসোর্টে মূলত ভিআইপিদের অবকাশযাপনের জন্য প্রিয় জায়গা।

রয়েছে একাধিক প্রেসিডেন্ট স্যুট। যার এক রাতের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। রাত হলেই জমতো আড্ডা।
এ ছাড়াও পিয়াসা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বড় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের নাম এসেছে। পিয়াসার ল্যাপটপে তার সঙ্গে একাধিক ছবি পাওয়া গেছে।

গত বুধবার পরীমনিকে তার বনানী বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তার আগে রোববার রাতে বারিধারার বাসা থেকে মডেল পিয়াসাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ আনা হয়েছে। পিয়াসার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার উচ্চতর তদন্তের জন্য থানা পুলিশ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে মামলাগুলো সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার মুখ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক গতকাল মানবজমিনকে জানান, ‘মামলাগুলো সিআইডিতে এসেছে। মামলাগুলো আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা তদন্তগুলো ধীরস্থিরভাবে করছি। যাতে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি না পান। তবে এর আড়ালে যেই থাকুক না কেন তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, পরীমনি ও পিয়াসার মোবাইল ফোন দিনের বেলায় অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকতো। তারা কথা বলতেন অনলাইন মাধ্যমে।

সূত্র জানায়, র‌্যাব ও পুলিশ তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে যে ল্যাপটপ জব্দ করেছে তা নিজেদের কব্জায় নিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *