হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় সিআইডির তল্লাশি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো: আজাদ রহমান জানিয়েছেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই তার বাসায় তল্লাশি করা হয়। তিনি বলেন, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৯ জুলাই মধ্যরাতে হেলেনার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। চার ঘণ্টার অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেকবই, বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং ক্যাসিনো খেলার ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।

পরদিন গুলশান থানায় দুটি মামলা করে হেলেনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অপর মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

একই রাতে পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। সর্বশেষ ২ আগস্ট চাঁদাবাজির অভিযোগে পল্লবী থানায় আরেকটি মামলাটি করেন আব্দুর রহমান তুহিন নামে এক সাংবাদিক। হেলেনা জাহাঙ্গীর বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ‌‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। ওই পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনার জেরে ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *