মাদকদ্রব্য ও বিকৃত যৌনাচার এবং পর্নোগ্রাফির সরঞ্জামসহ রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজের কাছ থেকে বেশকিছু ব্যাপক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। রাজ অন্ধকার পথে কিছু তথাকথিত মডেলদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানুষকে মনোরঞ্জন করাতেন বলেও শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
হারুন আরও বলেন, রাজ যাদের মনোরঞ্জন করাতেন তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমরা তার সঙ্গে আরও বিস্তরিত কথা বলেছি। মূলত তার কোনো লেখাপড়া নেই। তিনি একজন মূর্খ মানুষ। এখানে তিনি নিচু চাকরি করতেন। আজকে তিনি উপরের পর্যায়ে গেছেন। এটার জন্য দায়ী কিছু খারাপ প্রকৃতির মানুষ।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, রাজ আমাদের কিছু নাম বলেছেন- যাদের তিনি বিভিন্ন মডেল সাপ্লাই দিতেন। যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে, সেহেতু তিনি আমাদের কাছে আরও কিছু তথ্য দেবেন। সেসব মানুষের নাম আমরা পরে বলতে পারব। তবে উচ্চ মধ্যবিত্ত বা বড় লোকের সন্তানদের নিয়ে এ কাজগুলো করতেন তিনি। মূলত ঘরোয়া পার্টিতে এসব হতো।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে রাজকে আটক করে।ওই সময় তার বাসায় মাদকসহ পর্নোগ্রাফি ও বিকৃত যৌনাচারের বিভিন্ন আলামত এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে বনানী থানায় রাজকে হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব।পরে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে নেওয়া হয়। বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় রাজকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।এর বিরোধিতা করেন নিলাঞ্জনা রেফাত সুরভীসহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালত তা নাকচ করে দেন। পরে রাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।