গাজীপুর নগর বাসির চোখের জলে রাজপথে বন্যা–৯

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: খবর আসছে। গাজীপুর মহানগরকে গ্রীণ সিটি করা হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন একটি শায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান। নিজশ্ব অর্থ, সরকারি, বে-সরকারি অর্থ ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থ আসছে প্রতিনিয়ত। বিগত সময়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এত টাকা আসেনি। টাকা আসছে উন্নয়নও হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে সুন্দর,মসৃন ও প্রশস্ত রাস্তা তৈরি হচ্ছে। মেয়র বলছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চারদিকে বর্ডার রোড তৈরি কেরা হবে। মহানগরের এই বর্ডার রোডে নদীর পারে সবুজ গাছ-পালা লাগানো হবে। নদীর পার দিয়ে চলমান রাস্তা জনগণের যাতায়েতের জন্য যেমন সুবিধা হবে ঠিক তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর‌্য উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু নদী ভরাট হলে, পানি দূষিত হলে, ডুবা নালা ভরাট হলে, ভেজাল নির্মাণ সামগ্রিতে রাস্তা তৈরি হলে এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ থাকলে গ্রীণ সিটি বাস্তবে হবে না,লেখা থাকবে কাগজে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরে নাগরিকদের ময়লা আবর্জনা নিয়ে ব্যবসা বানিজ্যও চলে। এই ময়লার ব্যবসা সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। রাস্তা-ঘাট সহ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত ঠিকাদারদের সততা নিয়েও নানা সময়ে প্রশ্ন উঠে। বিভিন্ন সময় ভেজাল নির্মাণ সামগ্রি ব্যবহারের কারনে নির্ধারিত সময়ের আগেই রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যায়। এতে শুধু টাকায় অপচয়ই হয়না উন্নয়নও থমকে যায়। এদিকে, রাস্তা-ঘাটের দুই পাশে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দোকান-পাট গড়ে উঠার হিরিক উঠে। এক শ্রেণির সুবিধাবাদী চক্র অবৈধভাবে দোকান-পাট তৈরি করে রাস্তার সৌন্দর‌্ নষ্ট করে । রাস্তাঘাটের দুই পাশে অবৈধ দোকান-পাট ও রাস্তায় ভাসমান দোকান যান চলাচল বাঁধার সৃষ্টি করে ও বিভিন্ন সময়ে দূর্ঘটনা ঘটে। গ্রীণ সিটি করতে হলে রাস্তাকে রাস্তার মত রাখতে হবে। নগরবাসীর দাবি পানির উৎস সংরক্ষণ, রাস্তা-ঘাট থেকে অবৈধ দোকান-পাট ও ফুটপাত উচ্ছেদ সরকারি জলাশয় পুকুর-ডোবা ও নদী-নালা জলাশয় মুক্তকরণ জরুরী। গাজীপুর মহানগরকে গ্রীণ সিটি করতে হলে একটি স্টাসফোর্স গঠন করে এখনি শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন।

সরেজমিন দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরে চলমান যানবাহনে সামনে স্টিকার লাগানে থাকে। সাংবাদিক, আইনজীবী,চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পুলিশ, ডাক্তার,শিক্ষক ও প্রেস সহ অসংখ্য বে-আইনি স্টিকার লাগানো গাড়ি বিশেষ প্রটোকল তৈরি করায় গণপরিবহন চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়। মোটরযান আইনে অ-প্রাতিষ্ঠানিক স্টিকার বে-আইনি হওয়া সত্বেও প্রয়োজনীয় মনিটরিং এর অভাবে এ ধরনের ব্যপক গাড়ি রাস্তা-ঘাটে দাপিয়ে বেড়াই। এগুলোর সাথে নাম্বার বিহীন গাড়ি, মেয়াদ উত্তির্ণ গাড়ি এবং কাজগপত্র বিহীন গাড়ি অবাধে চলাচল করায় গণপরিবহন প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুক্ষিন হয় । গাজীপুর মহানগরে কৃত্তিম যানজট তৈরির এটিও একটি কারন।

(চলেবে…..)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *