ঢাকাঃ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালে পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে আত্মপ্রকাশ। পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে দলটি। সর্বশেষ টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের টানা নেতৃত্ব দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দলের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দলে সুযোগসন্ধানী অনুপ্রবেশকারীদের তৎপরতা রোধ এবং বিরোধী দলগুলোর সম্ভাব্য আন্দোলন-রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবিলা।
দলীয় নেতারা বলছেন, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় নেতৃত্বের বিস্তার লাভ করেছে। জুনিয়ররা সিনিয়র হয়েছেন।
ত্যাগী নেতারা যথাযথ মূল্যায়ন চান। এসব কারণে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। যেহেতু মাত্র দুই বছর পর জাতীয় নির্বাচন। তাই আগেভাগেই সাংগঠনিক বিরোধ মিটিয়ে দলকে আরও সুসংগঠিত করা হবে। সুযোগসন্ধানীদের অনুপ্রবেশ নিয়েও দলটির আলাদা মূল্যায়ন রয়েছে। শীর্ষ নেতারা জানান, দুই ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটছে আওয়ামী লীগে।
প্রথমত, আদর্শিক কারণে অনেকে অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চান। এদের কেউ ক্ষতিকারক নন। আবার কেউ কেউ দলের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে সুযোগ হিসেবে নিতে প্রবেশ করতে চান। শেষ কারণে যারা দলে যোগ দিচ্ছেন তারাই আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত ও ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছেন।
এছাড়া টানা তিন দফা ক্ষমতায় থাকায় বিরোধী দলগুলো এখন নানাভাবে তৎপর। সামনের নির্বাচন ঘিরে এই তৎপরতা আরও বাড়বে। সামনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন দলের সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে দলটির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, সব ধরনের বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে। আওয়ামী লীগের রয়েছে পদে পদে বাধা। পদে পদে জীবননাশের চেষ্টা, পদে পদে ষড়যন্ত্র। প্রতিটি মুহূর্তে আমরা ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হই, প্রতি মুহূর্তে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকি থাকে। এসব অবস্থা মোকাবিলা করেই শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের অপর নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বলতে গেলে বাংলাদেশের ইতিহাস বলতে হয়।
উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেক প্রবীণ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী কারাগারের রোজনামচা পড়লে বোঝা যায় কত কষ্ট করেছেন তিনি এই দলটির জন্য। মন্ত্রীত্বের জন্য মানুষ ঘুরে বেড়ায়। আর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ধাপে ধাপে ছাত্রলীগের যারা নেতা ছিলেন তারা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা হয়েছেন। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে নেই- এখন একথা বলা কঠিন। আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে থাকতাম। স্নেহধন্য আমার জীবন।
তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানি কাঠামোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তি আসবে না। একদিন বাঙালির ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিকে হতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে তার স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুটি স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। একটি হলো স্বাধীনতা, আরেকটি হলো- ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। একটি তিনি করে গিয়েছিলেন। আরেকটি তিনি যখন শুরু করেছিলেন তখনই ১৫ই আগস্ট বঙ্গমাতাসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ কন্যা তখন বিদেশে ছিলেন।
১৯৮১ সালে আমরা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠা, সততা আর দক্ষতার সঙ্গে ৪০ বছর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। চারবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে দলটির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান মানবজমিনকে বলেন, আমাদের সামনে রয়েছে অগণতান্ত্রিক বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। আর ইসলামের অপব্যাখা দিয়ে জামায়াত তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এছাড়াও রয়েছে জঙ্গিবাদ ও দারিদ্র্য। তিনি বলেন, দলে অনুপ্রবেশ ও হাইব্রিড নিয়ে নানা কথা রয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের আদর্শ পছন্দ না হওয়ায় অনেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন। তারা দলের জন্য ক্ষতিকর নন। কিন্তু অনেকে আবার দলে যোগ দিচ্ছেন ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের অপকর্ম করতে। তারা দলের জন্য ক্ষতিকর। তবে আওয়ামী লীগ এদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। তাই যাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এরকম অনেক উদাহরণ তৈরি হয়েছে।
রোজ গার্ডেন থেকে গণভবন: বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন এবং বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এ রাজনৈতিক দলটি এ দেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। রোজ গার্ডেনে জন্মগ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়।
গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলের গৌরবোজ্জ্বল ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ দেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪শে জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে একটি রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধীদল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীরা সংগঠন থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৬৬ সালের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একচ্ছত্র নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা।
’৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এই আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩রা নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্বশূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এর পর দলের মধ্যে ভাঙন ও দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। চার দশক ধরে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে দলটি। আবার ৭২ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ বছরই আওয়ামী লীগকে থাকতে হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছর এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ বছর, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটানা একযুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা সুসংহত হতে সক্ষম হয়ে জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার পরিচয়ও দিয়েছিল দলটি। কিন্তু এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আবারো নতুন সংকটের মুখে পড়ে যায় দলটি।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতারা গ্রেপ্তার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সংকটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম। তবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। পরে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের শত প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন।
নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সুখী, সমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে দলটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বুধবার সূর্যোদয়ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯টায় সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।